তোমার সাথে আমি নিয়ত আলাদা হই।
আমি ফিরে যেতে পারিনি ছেড়ে নির্বাক তরী
অথচ রাত্রির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছে সময়
যেন ঘড়ির কাঁটার মতো পুরো ব্যাসার্ধ ঘুরে এসে বলবে―
সময় শেষ― প্রহরীর মতন।
আদি-অন্ত মাঠের মতো অবনত হও, দ্যাখো―
সকালের পূর্বাভাস― সমস্ত নিদ্রাহীনতা নিয়ে ফিরে আসে।
আমাদের কেন দেখা হলো এরকম মধ্য বিকেলে?
সন্ধ্যা ছুঁয়েছে, রাত্রি গভীর হয়ে আসে
ফিরে আসে গ্রহণের কাল, সুর তরঙ্গ থেমে যায় এইসব কোলাহলে।
এ’বড় সময়ের অপব্যয়!
এরকম অসহায় চোখ নিয়ে কেন ঘরে ফিরতে হয়―
কেনইবা এরকম অনির্বচনীয় প্রহর এসে সামনে দাঁড়ায়
এখন বড় দুঃখ ফেরি করি!
বড় মর্মে জেনেছি―
কেউ কাউকে দ্যাখিনি চোখ তুলে
সমস্ত বিষাদের ভেতর তবু এক সন্ধ্যা নেমে এলো যে-ই
চলে গেলে পাখির ডানায় অমোঘ শিষের মতো
তুমি যেন চুরি করা আলোয় হারালে নিমেষেই।
নিমেষেই ঘন্টা বেজে উঠলো মন্দিরে
আর প্রার্থণার সকল শ্লোক হারিয়ে গ্যাছে―
দেহ থেকে দূর কোন কোলাহলে।
প্রণতি জানাবো কাকে?
এখন মধ্যযামে, সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো হারিয়ে গ্যাছি
অজস্র জলরাশির ভেতর , অজস্র বালিকণার ভেতর
এক শতাব্দী আয়ু নিয়ে হারিয়ে গ্যাছি
যদি প্রণয় সাগর তীরে কখনো দ্যাখা হয়―
জেনো―বিষাদের নদী থেকে কোন জল এখনো গড়িয়ে যায়নি বনাঞ্চলে….
১৭ ডিসেম্বর’২৩