নিজেকে দু’ভাগ করি, অসহ্য প্রলাপ চারিদিকে
এক ভাগ বাড়ি ফেরে, এক ভাগ তোমার দিকে
অথচ এ’গান তবু, কোনদিন ছোঁবে না তোমায়
পাঁজরে দ্বিধার টান—আঁধারে ঢাকছে কেন হায়!
যেন সর্বনাশ আমি নিজ হাতে সাজিয়ে নিয়েছি
গভীর জলের স্রোতে হাজারো পাথর কুড়িয়েছি
যে স্রোতে শুধু পাহাড় ভাঙে, কুলহারা দীর্ঘশ্বাস
হারাবার কিছু নেই আর, যেন পুরনো অভ্যাস
গৎবাঁধা নিয়মের হাতে রেখে দূরে চলে যাই
বহুজন্মের আহত হৃদয়পোড়া সূর্যের ছাই—
মেখে চলে যাই দূর—চিহ্ন পড়ে থাকে গায়ে তার
মুখোশের দাবি নেই— যে চিনেছে এই হাহাকার!
অথচ দুঃখ নেই, নেই সুখের চেনা অক্ষর
নিজের বিলয় দ্যাখি, মিলিয়ে যাওয়া কণ্ঠস্বর—
থেকে থেকে ভেসে আসে,দূরলগ্ন মৃতদের সাথে
ভেজা শরীরের পাশে কথা বলে মূহুর্তে মূহুর্তে
কেন দু’ভাগ করেছি? তোমারই দিকে কেন যাই?
তৃষ্ণায় উদ্বাস্তু হয়ে—হারাই বুঝি সমগ্রটাই!