প্রতিটি মানুষ জানে তার তন্দ্রাহীনতার ভেতর-
এককোটি রক্তবর্ণ গোলাপ শরীরে ফুটে থাকে।
অথচ নদীর জলে সেসব ছায়া ফুটে ওঠেনি
সেদিন অস্ফুট স্বরে তাই ঝরে গ্যাছে ফুলগুলো–
নিষ্ফলতা ও মৃত্যুর অনুর্বর ভূমিতে। নিয়তি-
এই যাবতীয় ঈর্ষা, নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করে
নিঃসঙ্গ সারসের মতো একপায়ে, অপেক্ষায়।
তখন তোমার প্রতি নিকষ প্রবল অন্ধকার–
ছুটে আসবে, বহুল বেদনাস্বর বলবে কথা
জেনে যাবে পৃথিবীর যাবতীয় কণ্ঠলগ্ন গান
সকল গমের বীজে কতটুকু সবুজ আঁধার–
জমে জমে হয় পূর্ণ, সমূহ গোলাপের বাগানে
সুদীর্ঘ রাত কখনো ঝরে হয়ে যায় এক নদী।
পুরনো চিঠির ভাঁজে, তবু কাঁপে পুরনো অক্ষর।
এইসব শূন্যতায়, তুমি দেখবে মাতাল প্রেম–
নিঃশ্বাসের শব্দের মতো ঘন, আকুলিবিকুলি।
তবুও স্বপ্নের ঘোরে তুমি যাবে উষ্ণ আলিঙ্গনে
প্রেম ও শোকের মাঝে, সকল উজ্জ্বল যবনিকা।
সেই রাতগুলো পুড়ে হবে ভোর, একটা জীবন
মৃতেরা জ্যোৎস্না বনে, তুমি চলে যাবে আঙিনায়
আর কেউ আসে কি না, এইসব খোলা হাওয়ায়।