সকল দৃশ্যের মাঝে, সে এক দৃশ্য খেলা করছে।
পৃথিবীর কক্ষপথে চিরজাগরূক নক্ষত্রের-
দীর্ঘ আলো এসে পড়ে, অন্ধকার দূর লোকালয়ে
সেসব আলোর স্বর, দূরাগত প্রতিধ্বনি তোলে ।
এই যে মেঘের ঘন কালো ছায়া, সমস্ত সকাল-
ধাতব শব্দের মতো দিগ্বিদিক আলোক বিদীর্ণ করে
ছুটে আসে মওসুম-
বিগত রাত্রির হাত ধরে।
মানুষ বিস্মৃত হয়, নদীর মতো তন্দ্রাহীনতা।
২
সকল স্বপ্নের পরে-
সে-ও এক স্বপ্ন দ্যাখে-মৃত্যু
অনেক শতাব্দী যেন দাঁড়িয়েছিলো পথের বাঁকে
সে এক আশ্চর্য রোদ, যথাযথ শূন্যতা ও ভার
পরস্পরের ঘৃণার প্রকাশ হয়ে উঠতে পারে।
৩
আলোকের বিষণ্ণতা, শরীর ছুঁয়ে ছিল যেনবা
ফুরিয়ে যাবার আগে-বলেছিলো,অস্ফুট স্বরেরা
যেসব সঙ্কেত শুনে মনে পড়ে বিগত যৌবন-
ভুল করে দাঁড়িয়েছে:
সকল শতাব্দী তাই এক।
৪
পায়ে ঘাসের শরীর, হয়তো প্রকৃত নয় আর
নিদাঘ পুষ্পের ফল, রক্তিম ক্ষতের নিচে কাঁটা
যেন বহুযুগ পর ফিরে আসে দয়িতার মতো
আরো একবার ছুঁয়ে দেবার তুমুল আকাঙ্ক্ষায়।
২৯ এপ্রিল ২০১৮