নক্ষত্রের গোপন অসুখে—
যদি ফুল ফোটে তবু পাথরের বুকের ভেতরে
পাতার বাঁশিতে যদি এক সন্ন্যাসী গান গেয়ে ওঠে
এই মৈথুন মন্ডলে
দ্যাখেছি সন্ধ্যার বাতাসে, আমাদের হাতগুলো হয় আলাদা
দূরে কোন স্বচ্ছ্ব জলের ভেতর
যখন উঁকি দ্যায় বিষন্ন চাঁদ
তখন যদি তুমি যদি ডেকে ওঠো
এই বিষন্নকরণী পার হয়ে সমগ্র কবিতারাও—
বুঝি উড়ে যেতো
ব্যথা ভুলানোর দিনগুলোতে
শহরে কারফিউ
অথচ রাস্তাফেরির মানুষগুলো কেঁপে ওঠে
ক্রমাগত শব্দহীনতায়
আমাদের শরীরে তবু এক ম্লান ছায়া
সমস্ত ছায়াহীনতার দিন পার করে চলে যায়
যেন কোনদিন ছিল না এইখানে…
এইখানে, এই রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিনে
বিছানা-বালিশের আদরে কেঁপে ওঠো—
সঙ্গীর বুকের ভেতরে…
বুঝি, মথুরার প্রেম—গড়িয়ে যায় যমুনার জলে
বারংবার তোমাকে আবিষ্কার করি—
এই জলমণ্ডলে—কুয়াশা বা ধূলোর চাদরে মোড়া শহরে
যেখানে তুমি নও, তোমার ছায়ারা আসন পেতে আছে
যোনিপ্রেমে নয়, চির বিচ্ছেদের মতন
দূর আকাশে—পৃথিবীর ছায়াপথে
পালকের ঝরে পড়া দ্যাখে, বুঝে যাই আমাদের গতিপথ
যত দূরে মেঘ যায়—তত দূরে চলে যাও
অস্ফুট শব্দের ভেতর কী বলেছিলে মনে পড়ে না আর
শুধু শুনি পাথরের সংঘর্ষের আওযাজ
আর আশ্চর্য এক বধিরতা—কেউ তবে কাছে আসবে না
রৌদ্রতাপে তবু পুড়েছিলো এক ব্যকুল হৃদয়…