যেভাবে আঙুল থাকে পরস্পর থেকে সমদূরে
তারচেয়েও অধিক দূরে থাকে শরীরের ভার
মানুষের চেয়ে বেশি দূরে আর কিছু নেই যেন
কার্ণিশে ধুলোর মতো, জমে শুধু বিপুল আঁধার।
ফিরছি, দু’কাঁধে ভর করে আছে জাগতিক মেহ
নিঃসঙ্গ শিষ যেন, বহুদূরে দেখা অবসাদে-
নুয়ে পড়েছে ঘুমের মতো, রেখে একগুচ্ছ ছায়া
চিরবিসাদের স্বর যেন পাতাদের সংবেদে।
এমন অসুখ কেন? কেন ভাঙে অস্থিমজ্জাসহ?
জানে না দিনের মতো, আরোকিছু চলন্ত হাওয়া
জানে শুধু শব্দকণা, নিশ্বাসের প্রেমিকা যারা–
শিথিল রতির রাত-ঘুমের অবিরত চাওয়া।
তাদের মনে তো পড়ে, নিরীহ নদীদের হারালে
যেসব দুপুর চলে গ্যাছে একা করে হাত ছেড়ে
কোনদিন আসবে না জেনে,একা, নৈঃশব্দ্যে রেখে–
শঙকর শরীরের সাথে ঘাসের প্রেমিক করে।
কোথাও ফিরবে জানি–
কোনদিন হবে মুখোমুখি
কেউ জানবে না ছাপ: তার পিছু আত্মহত্যা কথা
নিস্তরঙ্গ বুক দ্যাখে আরো কিছুদিন হবো সুখী!
৯ জানুয়ারি ২০২৪
কী নিদারুণ বিষন্নতা, নাকি বলব কী নিষ্ঠূর বিষন্নতা!!
কবিতায় এমন বিষন্নতা বড় সুন্দর। স্পর্শের অতীত কোন যাত্রাপথে নিয়ে যায়।
ধন্যবাদ এমন অনুভব নিয়ে পাঠের জন্য।