আমার সবে আঠারো রাগ ছুঁয়ে
বুকে তখন আগুনরঙা গান
কে দিয়েছে কবিতার বীজ রুয়ে
সস্তা জীবনে বিদ্রোহে টান টান
ভেঙে দেওয়ার স্বপ্ন চোখে-মুখে
বাড়ির পাশে সমুদ্র উচাটন
লাল বই আর ম্যনিফেস্টো থেকে
কোট করছি প্রেমের বিজ্ঞাপন
মাধ্যমিকে পড়া কমার্স কলেজ―
পরের বছর বিশ্ববিদ্যালয়
নৃতত্ত্বের ব্যবহারিক নলেজ―
কবিতা লিখি শক্তি আর বিনয়
শঙ্খ ঘোষও মন টানতো খুব
জীবন বাবু মনোটোনাস দিনে
লাতিন কবি, পশ্চিমা আর পুব
দিন কাটেনি রবীন্দ্রনাথ বিনে
আমার সবে আষাঢ় সন্ধ্যেবেলা
মাঝে মাঝে হুইস্কি টালমাটাল
বাঁক পেরোলে কর্ণফুলির কোলে
ঢেউয়ের তালে দেখা মরা কাটাল
প্রতি বিকেল চায়ের কাপে ঝড়
দারুল ফজল, গণ গ্রন্থাগার―
হাজারি লেইন, চেরাগি পাহাড় মোড়
বিতর্ক ছিল মার্কসীয় লিটারেচার
দিন ছিল কবিতায়, গণ সঙ্গীতে
দলবেঁধে সুমনের গান গাইতাম
বুকে সাহস―বাঁধ ভাঙা ইঙ্গিতে
উন্মাদনা বুকে পুষে রাখতাম
দিন কেটেছিলো পোস্টারে পোস্টারে
লাল রঙে―তারায় খচিত দিনে
এখন জীবন রুটি-রোজগারে
সংসারে আর মধ্যবিত্ত ঋণে
মধ্যরাতে আকাশগঙ্গার মায়া
রিক্সা থেমেছে শান্তিবাগের মোড়ে
পায়ের কাছে দ্যাখি নিজের ছায়া
মা ছাড়া আর জাগেনি কেউ ঘরে
মধ্যরাতে গরম ভাতের থালা
বাড়িয়ে দিয়েছে ভয়-শঙ্কা বুকে
আমরা দ্যাখেছি কী মায়ার মালা―
জড়ানো ছিল হৃদয় কিংশুকে
২৭ ডিসেম্বর’২৩