তুমি তো আনন্দ, তুমি তো দুঃখের সহোদরা
তবু সঘন প্রেম, প্রতিজীবন ভেবেছি তোমাকে ছাড়া
তুমি তো মন্দির, তুমি যেন পূজার অর্ঘ্যের ফুল
শীতের প্রবন্ধে জমা— কলি থেকে ফুটতে ব্যাকুল
তুমি তো দূর, যেন বিউগল বেজে ওঠো যুদ্ধদিনে
জেনেছি রাধিকা, যেমন পাপড়ি গুনেছে কৃষ্ণ বিনে
যেন চলে গ্যাছো আনন্দ সংবাদে দু-ডানা মেলে
আমি তো দাঁড়িয়ে আছি একা বিয়োগের অঞ্চলে
তবু এ আনন্দ, তবু বেদনার কুসুৃম কোমল
বুকে বয়ে যাই প্রিয়, জল ও নুড়ির কোলাহল…
২.
বলেছিলে ভালো থেকো–
নিজের যত্ন নিও
আমি ভেবেছি ভালোবাসো
তোমার প্রেম অনুমেয়।
শেষ বিকেলের আলো–
তোমার মুখে চমকে ছিলো
ভেবেছিলাম ম্লান হয়েছে
আধখানা বাঁকা চাঁদও।
এই বিলীয়মান শহরে–
গড়ে যৌথ খামার বাড়ি
দ্বার খোলা এই হৃদয়ে
তুমি ভীষণ দরকারি।
শেষ দেখা এক সন্ধ্যায়
মৃদু কোলাহল ঢেকেছিলো
বলেছিলে দেখা হবে
অথচ সময় ফুরিয়ে গেলো।
একদিন ফুল ফুটবেই
তুমি নতুন দিনে খুঁজে নিও
আমি রইবো তখনো চেয়ে
তোমার প্রেমের হাতটি দিও।
২১-২২ ডিসেম্বর’২৩