করস্পর্শে তুলে নাও যেন তুমুল ছায়ার বন
কখনোবা প্রিয় সুর আঙুলের স্পর্শে স্পর্শে নাচে
সকল অনঘ রূপে হয়ে ওঠো অলীক প্রবণ
ফিরে আসে তোমারই নামে—গভীর সমুদ্র সেঁচে
কখনোবা ভালোবাসো—কখনোবা কান্না তুলে নাও
নক্ষত্র উজানে নাচে সেইসব সহজের ভাষা
নিজের জীবন থেকে মাধুকরী স্মৃতিকে কুড়াও
বুকের গভীরে জ্বলে চির আলোকের সর্বনাশা
তবুও কী রাতঘুমে দ্যাখেছো অশান্ত হিমাচল?
কী নামে ডেকেছো বলো, যার হাত ফিরে ফিরে আসে
সুখের ভীষণ কাছে উড়ে যায় অলক অঞ্চল
শেষ বিকেলের মেয়ে—চির নীরবতা ভালোবেসে
আমাদের চোখে যদি ফিরে আসে আলোকের দিন
হতে পারো স্রোতস্বিনী; জলের কোমল অমরতা
মেঘের কলহ মাখো; জীবন এমনই স্বাধীন
সুখ ও দুখের কাছে—তুমি তো জেনেছো সেই কথা
অথচ মায়ার রূপে কত শতাব্দী ধরেছো চোখে
নিদ্রার অতল ছায়া ক্রমে ক্রমে হয় প্রকাশিত
সুর সাগরের মতো নীরবতা কোথায়-বা আছে
অনিন্দ্য প্রেম যেনবা কণ্ঠে বাজে প্রতিনিয়ত…
২১ জুলাই’২৪