জানো মেহেরুন, এরকম ক্ষয়ে যাওয়া সময়ে কীভাবে বেঁচে আছি তা বিস্ময়ের লাগে।
যদিও সকল বৃষ্টিতে একইরকম সুগন্ধ থাকে, তবুও অনাদিকালের মতো এই বৃষ্টি-
আমাদের ধুয়ে-মুছে করে দেয় না পরিষ্কার। আমরা দাঁড়িয়ে আছি একটা গভীর সময়ে।
এই যে দ্যাখো, এরকম দুপুর বেলায়, হঠাৎ বৃষ্টি নেমে এলো বলে-
আমি শুনছি, ইয়ান্নি-দ্য রেইন মাস্ট ফল। অথচ আমাদের শহরে
না চাইতেই কতবার বৃষ্টি এসে ভাসিয়ে দিয়ে গেলো…
আমরা চাদর মুড়ি দিয়ে দ্যাখি ঘরের বাইরে কোমর সমান জল।
জানো মেহেরুন, মাঝে মাঝে আমার গডফাদার হতে ইচ্ছে হয়
কিন্তু ওদের মৃত্যুদৃশ্য দ্যাখে নিজেকে অসহায় মনে হয়-
কেননা, মনে মনে আমি একটা স্বাভাবিক মৃত্যুই কামনা করি।
কখনো ঘুমের ভেতর আগ্রাবাদ যদি হয়ে ওঠে ওয়াসিপুর, ভয় পেও না…
দূর কোন কণ্ঠস্বরে আমি শুনতে পাই-
“নেভার হেইট ইওর এনিমি. ইটস এফেক্টস ইওর জাজমেন্ট”
তবুও মাঝে মাঝে রিভেঞ্জ নিতে ইচ্ছে হয়-যদিও কোমল আঁধারে ডুবে থাকে সব আর শুনি-
“রিভেঞ্জ ইজ আ ডিস দ্যাট টেস্টেস বেস্ট হোয়েন সার্ভড কোল্ড”।
এরকম ক্ষয়ে যাওয়া সময়ে, মুখে থুথু জমে।যদিও-
উৎকৃষ্ট ঘ্রাণের ভেতর ডুবে যেতে ইচ্ছে হয়
কিঙবা উৎকৃষ্ট পানীয়ে।
নিয়মিত ঘরের ভেতর ফিরে এসে মনে হয়, শিকারীর তাড়া খেয়ে ফিরছি ব্ল্যাক ফরেস্টে।
পুরো শহর কিঙবা দেশটাকেই অন্ধকার গুহার মতো মনে হয়,
যে গুহা থেকে মাঝে মাঝেই বের হয়ে আসে মৃত্যু!
তবুও যে কথা হয়নি বলা কিংবা বলার অনুরাগে হারিয়ে গ্যাছে যেসব শব্দ-
মাঝে মাঝে আমার গডফাদার হতে ইচ্ছে জাগে,
হাওয়ার রাতে, খুব সশস্ত্র হতে ইচ্ছে করে!
১৪ মে ২০১৯