এইসব পাতাঝরা দিন এলে, আমার কেবল-
তোমার বিকেল কথা মনে পড়ে, সূর্যদিন থেকে
সেসব না বলা বাক্য- আসে নৈঃশব্দ্যের বাগানে
যেকোনো মলিন জলে-ছায়াগুলো অমলিন থাকে
নীরব গমের ক্ষেতে সেসব অতিলৌকিক শব্দে
আমার বিকেলগুলো হাতছানি দিয়ে ডাকে-আয়ু;
সন্ধিলগ্ন বিশ্বাসের নাম, অবসন্ন শরীরের
উপর কয়েকলক্ষ নিঃশ্বাসহন্তা দীর্ঘশ্বাস
আমি দেখি-দেখাটাই এক জীবনের পথচলা
এই স্বল্পমেয়াদের জ্বরে-অতিরিক্ত ভাঙাগড়া
যেকোনো বাগান থেকে তাই তুলে নিতে পারি ফুল
নিষিক্ত ফলের ঘ্রাণ। নীরবতার ভেতর থেকে
উঠে আসা জলস্বর, আমায় অবসরে ডাকছে
যেন ঘরাভর্তি জল, মাটির কোমল থেকে দূরে
ঈশ্বরের মতো একা ও দূরবর্তী সম্পর্কে যেন
পূর্ব ও পশ্চিম দোরে-একান্ত বিভেদের ভেতর
মুখবন্দী হই, সে কি আদল ভাঙা ইন্দ্রিয়গান!
অভিসম্পাতের মতো ঝরে পড়ে নিদ্রাকালমেঘ
বৃষ্টিহীন, রোদহীন। তবুও পাতাঝরার দিন
কখনো মুখের দিকে, শুনি সহস্র চুমোর শব্দ
নীরব জলের বুকে মন্থর কোনো হাওয়া এক
নারী ও পুরুষ জীবনে-দু’য়ের বিপরীত মৌসুমে
জাগে সম্পর্কের জাল, দুর্যোগের দিন,স্মৃতিহীন-
নৈঃশব্দ্যের গভীরে ছুটে যায় পিপাসাকাতর
কোনো ডাহুকীর মতো। নজরবন্দী এই শহরে
অভিশাপ বলে আর কিছু নেই! একাকী নদীর
মতো-বিষুবের ঘোরে ছুটে চলছে মৃত্যু অবধি।
আমার অনন্ত দিন যায় লক্ষ্যহীন রাত এলে
কেননা ফসল কাটা মাঠে নামে নিঃশব্দ ঘুম
থাকে বিষণ্ণ খড়ের ভার, শুকনো ও ব্যথাতুর
শ্রেণীর মতো বিচ্ছিন্ন-
এককোষী দেহলগ্ন যেন
সমস্ত সন্ধ্যার মতো, নিষেধ নিষিক্ত গান এক!
২৭অক্টোবর ২০১৮