জানি—তোমার অন্ধকার একাকী আমার নয়—
জানি; তোমার আলোকের দিনগুলো নয় কেবল আমারই
তবুও তো মেঘ জাগে—বুকে জাগে মাতাল অস্বস্তি
এই যে তোমাকে না পেয়ে—এখনো রাত্রি ফোটে
তারাপুঞ্জের ভেতর গেয়ে ওঠে ব্যাকুল পৃথিবী
ইট-পাথরের শহরে সহসা নেমে আসে সসব্যস্ত বিকেল
আমি ছুটে ছুটে যাই—তুমিও ছুটে আসো
আমাদের দুই পৃথিবী জেগে ওঠে—বিষন্ন হাওয়ার নিচে
মূহুর্তগুলো অলৌকিক আলোয় কেঁপে কেঁপে ওঠে
জানি; তোমার ভেতর আমি ডুবে যেতে পারি না
অস্থির দিনগুলো তোমার আঙুলে ফোটাতে পারি না—
নির্ভার ভাষাহীনতার গান
কেবল তোমার কণ্ঠস্বর শুনি—তোমার স্থির জীবনের কথা
কখনো সন্ধ্যামগ্ন রাতে তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে বুঝি—
হারিয়ে যাচ্ছো প্রেমে-রতিমগ্ন গানে
তখন কি মনে পড়ে আমার আঙুলের প্রতিভাষা?
আমি তোমায় লোভ করিনি—
কেবল তোমার দুখের সাথে মেলাতে চেয়েছি আমার দুখ
তোমার সুখের পাশে এক টুকরো অবসর
তুমি দূরের ছায়া হয়ে যাবে—হারিয়ে যাবে আলুথালু জীবনের বাঁকে
আর অন্ধকার কোনো মূহুর্তে মনে পড়ে গেলে—
জেনে রেখো; আমিও ভাবছি তোমায়
কোথাও ফুটে উঠবে সুসময়
কোথাও জেগে উঠবে অনন্ত এক নদী
কোথাও ভালোবাসা ফুরিয়ে যাবে
কোথাও চোখ চেয়ে র’বে মৃত্যু অবধি
তবুও তো স্রোত জাগে, বুক থেকে বুকে ছড়িয়ে যায়—
নিঃশব্দ পাতা ঝরার গান
আর এক নির্জন প্রেম
গ্রহণের দ্বারে দ্বারে যার নিত্য হাহাকার…
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪