সৈয়দ সাখাওয়াৎ
আমাদের দীর্ঘ হলো না কিছুই। অসময়ে বৃষ্টির মতন যেন এলে আর ভিজিয়ে দিয়ে সমগ্র চলে গেলে দূর কোন লোকে। অনুভবের মায়াজাল ছিন্ন করে কোনদিন পারি না যেতে। অথচ এই যে শিল্পের মওসুম, এই যে রাত্রি জাগরণের কোলাহল–সবকিছু এক বিন্দুতে এসে দাঁড়ায় কেবল। কেবল একটি গান কোন তন্ত্রীতে বেজে উঠলো বলে তাকে গান বলে মনে হয় না আর…মনে হয় একটা চিরন্তন সত্য এসে সামনে দাঁড়িয়ে। বলো, কেমন করে ভুলে থাকি–যখন স্বত্ত্বার ভেতর বেজে ওঠে সমূহ সকাল?
রোজ শরীর হাতরে টের পাই, ওখানে বাসা বেঁধেছে চিরন্তন অসুখ–ভুলে থাকবার। আকাশে বানভাসি মেঘ–তুমিও ভেসে গেছো উজ্জ্বয়নী হাওয়ায়। হয়তো মেঘ নয়, ছুঁয়ে গেছে কোমল কমল। যেন অগ্ন্যুৎসবে জ্বলে জ্বলে ছাই হয়ে যাই। এমন ব্যস্ত সকাল তবু চোখ খুলে দেখতে পাই তোমারই ছায়াময় মুখ–জানি এ’ছবি দৃশ্যকল্প নয় আর…
না হাওয়া, না বৃষ্টিজল–কে বেশি জেনেছিলো তোমার গোপন? আমি তো জানি না এখনও–জানা হবে না কোনদিন–হৃৎকমলের কোন পাতায় লেখা আছে শঙ্খ গানে, আমার নাম…যে জলে ডুবে গেছে অনন্ত কোলাহল, তার হাত ধরে থাকতে বড় ইচ্ছে হয়…