সেইসব কান্নারা অনর্থের দিকে হেঁটে চলে গ্যাছে-“চাতক বাঁচে কেমনে, মেঘের বরিষণ বিনে”এইসব শব্দের ভেতর আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষের ভিড়নিজেকে প্রায়শই অপাপবিদ্ধ শিশুদের সহগ মনে হয়যদিও “ওই নামের গৌরব রবে না” জেনে —বিভিন্ন প্রার্থণার সুর ঘড়ির অস্থিরতা প্রবন...
বুকের ভেতর তবু ফোটে কেবল মন্থর ঘাসশুকনো পাতার শব্দে ভাঙা মানুষের কোলাহলঝরে পড়ার ব্যাকুল শব্দ—নিদারুন অন্ধকারে—ভেজা নিশ্বাস জমছে, পাথরভাঙা শূন্য প্লাবনে তবু যেন অন্ধকার, তার বুকের পরে প্রবল—শেষ রাত্রির মরাল আভায় এসে দাঁড়িয়েছিলযেন এক দীর্ঘশ্বাস...
অনেক রহস্য যেন, মৃতমুখ পাড়ি দিতে জানিদেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা শতাব্দীর একফালি রোদআরো দূর কুয়াশায়, বাসা বাঁধে একঝাঁক পাখিনিয়ত পোড়ায় ঘাস, পুরনো ছায়ার ঘন শোক। বলো আরো দূর পথ, কতটুকু আড় ভাঙে ছায়া?শরবনে উঁকি দ্যায় ডাহুকের শোকময় মুখহারিয়ে প্রাচীন ঘর, মাছরাঙা...
কেবল তুমিই জানো, এখনো এই পালাবদলে–এই সোঁদাগন্ধভরা নদীতে কেন ভেসে বেড়াইকেন শহরের পথে পথে একা একা হেঁটে যাইএই লক্ষ্যহীন যাত্রা কোথায় নিয়ে যায় আমাকেতা-ও জানো কোনখানে জমে ওঠে বিষাদের জলহারিয়ে গেলে তুমিও কি কাঁদবে স্মৃতি সমাধিতে?জেনো, আঘ্রাণ শরীরে...
মানুষ যেন এক অভিমান, শোকাচ্ছন্ন শীতের দুপুর।তবুও বুকের ঘ্রাণ শুঁকে শুকে হয়ে ওঠে সমগ্র—স্রোতস্বিনী এক নদী।উজ্জ্বল আলোর নিচে—প্রগাঢ় এক অন্ধকার বার বার ফিরে আসেযেন এক বিচ্ছিন্ন গ্রাম,সমুদ্রে ক্রমে হয় বিলীন। তবু প্রতি মুহূর্তে কা’র ছায়া ফিরে আসে...
–আমি চাইতে চাইতে বেমালুমভিখিরি বনে গেলামঅথচ তোমার চোখের পাপড়িওকেঁপে উঠলো না একদিন… এই শহুরে পথের আলুথালু জীবনে, প্রাণ ঘসে ঘসে চলতে চলতে কত কিছুই তো ছুঁতে মন চায়। এরকম রঙমাখা বিকেলে বুকের ওম মেখে মেখে কুয়াশায় হারিয়ে যাওয়া একরত্তি জীবন–বহু...
যতো দূর দ্যাখি, যেন আদরের নদীফিরে আসে চোখে মৃদু প্রণয়ের ঢেউআরও গাঢ় হয় পাথরের নীরবতাগড়িয়ে নামে বুকে জল নিরবধি ঝরা বকুলের গন্ধ মেখে মেখেকত দূরে যায় চির বাসনার মেঘতোমাকেও ডাকে–যেখানে নীরব ভাষাবলে যায় কথা তোমারই নামটি ডেকে ডানার সীমানা আমাকে...
তুমি আড়ালেই থেকো, না দেখার অন্ধকারে ক্রমে–আমার শরীরে জমে উঠবে নীরব এক নদীআলোহীন হতে হতে চোখগুলো হয়ে যাবে স্থিরআর বুকের ভেতর হাওয়াদের আসা-যাওয়াএকদিন ঠিক বুঝে যাবো–সকল বাস্তুহীনতামূলত মোহের দিকে যায়, যেমন; তোমার দিকে–দূর পৃথিবীর মায়া...
নীরব ব্যথার দিন, তুমি আসো আলুথালু সাজেচোখের পাতায় তার নীরব অস্বস্তি লেগে আছেমাটির গভীরে যেন সেইসব সুরগুলো বাজেসূর্যের গ্রহণে গাঢ় অন্ধকার যেনবা নেমেছে।যেদিকে তাকাই এই রৌদ্রদগ্ধ দিন ফিরে আসেহাড়ের গভীরে লেগে আছে সেইসব অপমানকবন্ধ শরীর ছুটে...
১. সন্ধ্যে পেরিয়ে রাত্রি যখন মধ্যযামে এলোমন খারাপের নাও ভাসিয়ে কোন সুদূরে বলো–যাবে তুমি?–জানে না ভীষণ বৃষ্টি জমা মেঘওস্পর্শ গান থেমে গেলে হায়,থেমে যায় অভিষেকওঅথচ জীবন খুঁজে ফিরে এক চির বহমান নদীসেইসব শ্রুতি এখনো সজীব, জ্বলছে নিরবধিঅস্ফুট...