পাঠ অনুবাদ ছেড়ে কে তুমি ফোটাও দৃশ্যফুলভ্রমণের গানগুলি ভুলসুরে গেয়ে ওঠো কেনমঞ্চ আলোকিত হলে, চোখের আস্তিন থেকে চুল-সরিয়ে বলে উঠছো ভালবাসি ভালবাসি যেনমেঘেরাও ভুল করে উড়ে গিয়েছিল বাড়ি—দূরেসেইসব স্মৃতিময় দিন গুণছে ব্যথার গানপাতার পতন স্বর শুনছে অনালোকিত...
কতদূরে যেতে হয়, কতটুকুই বা যেতে পারে—একফালি মেঘ তবু জল হয়ে ঝরবার আগেকতটুকু বরফের চাঁই হয় সাগরের জলপৃথিবীর পিঠে পিঠে মেরু থেকে মরুর ওপারে কা’র বুকে সুঁই ফোটে বেদনার মৃদু জ্বরে কাঁপেদেহের অস্থিরেখায় অগোছালো হাতে-সংরাগেকতটুকু ছায়া হয় ভালোবেসে মরে যেতে...
নিঃসঙ্গ পাথরের তবু থাকে সংঘর্ষ সঙ্গীযে নদী একাকী বয়, তারও থাকে জমজ বোনআর মানুষ—অস্ফুট শব্দের ভেতর মৃত যেনকোনদিন আসবে না জেনে নিয়ত যে পুড়ে ছাই আমি তার ভোরলগ্ন মৃত্যুর কথা বলছি, অথবাহারিয়ে যাবার ছলে সেইসব বীতভাব শ্লোক। হয়তো দেখার ছলে, অথবা যে দেখেনি...
আমার উঠোনজুড়ে পড়ে আছে সূর্যপোড়া ছাইবিছানা-বালিশে শুধু পুরনো শ্যাঁওলাপড়া গন্ধদ্যাখি, সিথানে-পিথানে শব; কিঙবা অচল রাষ্ট্রটাই—শুয়েছে কাফন গায়ে, শরীরে রাখা মিথ্যে প্রবন্ধ! অথচ তাদের মুখে, দ্যাখি — সর্বগ্রাসী ক্ষুধা একবিচিত্র পালাবদল অথবা পৃথুল...
অথচ পৃথিবীর কোথাও নেই এমন মাইলফলকযেখানে লেখা থাকে দূরত্বহীনতার কথাকিঙবা দুঃখময় আঙুলের ভার-যে কোনদিন ঘুচায়নি দূরত্ব!আমরা শুধু দূরত্ব মাপিসম্পর্কের দূরত্ব, জীবনের দূরত্ব-একরাশ বেদনার দূরত্বও বটে।এমন তো হতে পারে, দূরত্ব মাপতে মাপতে আমরা একদিনহারিয়ে...
বিপন্ন সকাল এসে দাঁড়িয়েছে হাতের মুদ্রায়সমস্ত প্রশ্নের পর, সারারাত শিস দিয়ে গেছেআরও গান আরও মুত্যুর ধাবমান রেখায় —নিস্তরঙ্গ ট্রেন এসে যেন সংঘর্ষ ছড়িয়েছে ওইযে পাথরসারি — ক্রমাগত বৃষ্টির আঘাতে —খয়ে গেছে, বিপরীত বিন্যাসে তবু কেউ দাঁড়ায়যতদূর দৃষ্টি যায়...
এইসব পাতাঝরা দিন এলে, আমার কেবল-তোমার বিকেল কথা মনে পড়ে, সূর্যদিন থেকেসেসব না বলা বাক্য- আসে নৈঃশব্দ্যের বাগানেযেকোনো মলিন জলে-ছায়াগুলো অমলিন থাকেনীরব গমের ক্ষেতে সেসব অতিলৌকিক শব্দেআমার বিকেলগুলো হাতছানি দিয়ে ডাকে-আয়ু;সন্ধিলগ্ন বিশ্বাসের নাম...
—অথচ তোমার দিকে এই তুমুল সন্ধ্যেবেলায়ছুটে গেলো যেন এক অসমাপ্ত স্মৃতির তারাতার কাছে জমা আছে ভোরলগ্ন আলোকের দায়মৃত্তিকার পলে পলে হেঁটে গ্যাছে অতিদূরে যারা— তাদের চোখের কাছে ফুটে থাকে রক্তরাগ জবাভাঙা পালকের ভাঁজে বাতাসে গুঞ্জরণের মতোওরা দলে হেঁটে যায়...
সেদিন সিক্ত সন্ধ্যায়, অস্ফুট কথাদের আড়ালেনক্ষত্র যেন ঘুমিয়ে পড়েছিলো। অথবা তুমিই–মনে হলো বহুযুগ ধরে তোমার চোখের ‘পরেতিরতির করে কেঁপে উঠেছিলে নিভৃত পালকে মর্মে যে সুর বেজেছে, বুঝিবা সেই সব ছায়ায়জড়িয়েছে এই শব্দ–শহরের সব কোলাহলনতুন...