তোমার নামে না হয় হোক এক সহজ দুপুরঅথবা সোনালু ফুল ঝুলে থাকা হলুদের ঝারআরোকিছু রঙরূপ সুকুমার আলস্যের সুরশঙ্কর শরীরজুড়ে জল পাক নদীর আকার। কিঙবা রোদের গান যেখানে নামছে সুক্ষ্ম ঢেউশহুরে চিলের ঠোঁটে সেইসব অবিকল গানতোমাকে চিনুক তারা, আকাশের শুকতারা সে...
সকল দৃশ্যের মাঝে, সে এক দৃশ্য খেলা করছে। পৃথিবীর কক্ষপথে চিরজাগরূক নক্ষত্রের-দীর্ঘ আলো এসে পড়ে, অন্ধকার দূর লোকালয়েসেসব আলোর স্বর, দূরাগত প্রতিধ্বনি তোলে । এই যে মেঘের ঘন কালো ছায়া, সমস্ত সকাল-ধাতব শব্দের মতো দিগ্বিদিক আলোক বিদীর্ণ করেছুটে আসে মওসুম...
আরো কিছু সন্ধ্যা পুড়ে রাত বাড়তি হলো ক্রমশপাথরের খুঁপি থেকে উঁকি দ্যায় শামুকের মুখনদী ও নারীর জলে, ঘাঁই দ্যায় নির্ভেজাল মীনওরা তখন হারিয়ে যাবার গল্প বলে কোথাও।কোথাও শিশুর মুখ থেকে উবে যায় দুধগন্ধবর্শির আঁকসি যেন, বিঁধে যায় শরীরে ও স্বরেবোমারু বিমান...
জানো মেহেরুন, এরকম ক্ষয়ে যাওয়া সময়ে কীভাবে বেঁচে আছি তা বিস্ময়ের লাগে।যদিও সকল বৃষ্টিতে একইরকম সুগন্ধ থাকে, তবুও অনাদিকালের মতো এই বৃষ্টি-আমাদের ধুয়ে-মুছে করে দেয় না পরিষ্কার। আমরা দাঁড়িয়ে আছি একটা গভীর সময়ে। এই যে দ্যাখো, এরকম দুপুর বেলায়, হঠাৎ...
পাঠ অনুবাদ ছেড়ে কে তুমি ফোটাও দৃশ্যফুলভ্রমণের গানগুলি ভুলসুরে গেয়ে ওঠো কেনমঞ্চ আলোকিত হলে, চোখের আস্তিন থেকে চুল-সরিয়ে বলে উঠছো ভালবাসি ভালবাসি যেনমেঘেরাও ভুল করে উড়ে গিয়েছিল বাড়ি—দূরেসেইসব স্মৃতিময় দিন গুণছে ব্যথার গানপাতার পতন স্বর শুনছে অনালোকিত...
কতদূরে যেতে হয়, কতটুকুই বা যেতে পারে—একফালি মেঘ তবু জল হয়ে ঝরবার আগেকতটুকু বরফের চাঁই হয় সাগরের জলপৃথিবীর পিঠে পিঠে মেরু থেকে মরুর ওপারে কা’র বুকে সুঁই ফোটে বেদনার মৃদু জ্বরে কাঁপেদেহের অস্থিরেখায় অগোছালো হাতে-সংরাগেকতটুকু ছায়া হয় ভালোবেসে মরে যেতে...
নিঃসঙ্গ পাথরের তবু থাকে সংঘর্ষ সঙ্গীযে নদী একাকী বয়, তারও থাকে জমজ বোনআর মানুষ—অস্ফুট শব্দের ভেতর মৃত যেনকোনদিন আসবে না জেনে নিয়ত যে পুড়ে ছাই আমি তার ভোরলগ্ন মৃত্যুর কথা বলছি, অথবাহারিয়ে যাবার ছলে সেইসব বীতভাব শ্লোক। হয়তো দেখার ছলে, অথবা যে দেখেনি...
আমার উঠোনজুড়ে পড়ে আছে সূর্যপোড়া ছাইবিছানা-বালিশে শুধু পুরনো শ্যাঁওলাপড়া গন্ধদ্যাখি, সিথানে-পিথানে শব; কিঙবা অচল রাষ্ট্রটাই—শুয়েছে কাফন গায়ে, শরীরে রাখা মিথ্যে প্রবন্ধ! অথচ তাদের মুখে, দ্যাখি — সর্বগ্রাসী ক্ষুধা একবিচিত্র পালাবদল অথবা পৃথুল...
অথচ পৃথিবীর কোথাও নেই এমন মাইলফলকযেখানে লেখা থাকে দূরত্বহীনতার কথাকিঙবা দুঃখময় আঙুলের ভার-যে কোনদিন ঘুচায়নি দূরত্ব!আমরা শুধু দূরত্ব মাপিসম্পর্কের দূরত্ব, জীবনের দূরত্ব-একরাশ বেদনার দূরত্বও বটে।এমন তো হতে পারে, দূরত্ব মাপতে মাপতে আমরা একদিনহারিয়ে...
বিপন্ন সকাল এসে দাঁড়িয়েছে হাতের মুদ্রায়সমস্ত প্রশ্নের পর, সারারাত শিস দিয়ে গেছেআরও গান আরও মুত্যুর ধাবমান রেখায় —নিস্তরঙ্গ ট্রেন এসে যেন সংঘর্ষ ছড়িয়েছে ওইযে পাথরসারি — ক্রমাগত বৃষ্টির আঘাতে —খয়ে গেছে, বিপরীত বিন্যাসে তবু কেউ দাঁড়ায়যতদূর দৃষ্টি যায়...