সর্বশেষ প্রকাশিত

তোমার ক্রন্দন

তোমার ক্রন্দন

যখনই শুনি এই ভাঙা পথে তোমার ক্রন্দনআমার হৃদয়ে বেজে ওঠে শেষ যাত্রার ধ্বনিরাসূর্য ডুবে যায়, শুধু থাকে নিস্তব্ধতা, বিসর্জনঅশরীরী হয়ে ওঠো–যেন অনুজ্জ্বল এক তারাএই অস্ফুট শব্দের ভার বইতে পারি না আরএই ব্যর্থতা ক্রমশ আলাদা আলাদা করে শুধুসকল দুয়ার...

বিষন্ন হাওয়ায় কেঁপে ওঠে দুই পৃথিবী

বিষন্ন হাওয়ায় কেঁপে ওঠে দুই পৃথিবী

জানি—তোমার অন্ধকার একাকী আমার নয়—জানি; তোমার আলোকের দিনগুলো নয় কেবল আমারইতবুও তো মেঘ জাগে—বুকে জাগে মাতাল অস্বস্তিএই যে তোমাকে না পেয়ে—এখনো রাত্রি ফোটেতারাপুঞ্জের ভেতর গেয়ে ওঠে ব্যাকুল পৃথিবীইট-পাথরের শহরে সহসা নেমে আসে সসব্যস্ত বিকেলআমি ছুটে ছুটে...

প্রেম

প্রেম

সবকিছু ভুলে যাবো, বসন্তের আনকোরা রূপেফাল্গুনে রোদ জমাবো–মায়া জমে কোন অভিশাপে? তবুও রোদের ছায়া–তবু স্মৃতি এতোটা পোড়ায়ইচ্ছের মাশুল দিতে, এখনো তোমার দিকে যায় কী হয় অপর পাশে, গোলাপ কি কেঁপে ওঠে আজো?প্রতিদিন ফিরে আসে–শূন্যতা কী করে তবে...

পৃথক জীবন

পৃথক জীবন

এ’কথা পাখিরাও জানে, প্রেম ফুরিয়ে গেলে–মানুষের চোখের ভেতর কৃষ্ণপক্ষ রাত এসে ভীড় করে। বুকের ভেতর মুকুর ফোটা সন্ধ্যা কেবলজলের স্রোতের মতো হারিয়ে যায়, এই দিকশূন্যপুরে। শীৎকারটুকু থাকে–অভ্যাসে।পরস্পরের রহস্যধ্বনির ভেতর একটা আচানক রাত...

ব্যবধান

ব্যবধান

বাতাসে জলের গন্ধ এই শীতমগ্ন বিকেলবেলাঘর থেকে ঘরে রোদচুরি করা বিকল্প মৌসুমস্মৃতির ভেতরে তুমি খেলে যাও শুধু জলের খেলানিবিড় জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে ওমক্লান্ত বেদনার ঘুম। এইযে এখানে সেলাই হচ্ছে সম্পর্কের সব সুতোশরীরে নক্ষত্রের আলো ঝরে, ঝরে বাতাসের গানস্মৃতি...

প্রশ্ন

প্রশ্ন

আমার শরীর থেকে তবু ফোটে দুধসাদা ফুলযেকোনো সন্ধ্যায় তুমি তাকে হাতে তুলে নিয়ে যাওতুমি ডাকো তাই ছুটে আসি–তুমি আরাধ্য বকুলঘ্রাণের প্রবন্ধ মেখে ফিরি–তুমি দুকূল কাঁপাও। তোমাকে দ্যাখি–তবুও যেন এক সর্বগ্রাসী ক্ষুধা–ফিরে আসে, ভ্রমণের...

ভাঙনের সুর

ভাঙনের সুর

পৃষ্ঠা বদলের মতো যদিপাল্টে যেত একটি জীবন,তবে আকাশের সীমাহীনতায়সমস্ত ক্লেদ আর গ্লানিধীরে ধীরে বিকিয়ে দিতে পারতাম।কিন্তু পোশাক বদলানোর বদলে,আমি কেবল দুঃখই বেছে নিলাম। সমগ্র পুড়ে যাওয়া এই সন্ধ্যায়,জানি, ফেরা হয় না কাঙ্ক্ষিত ছায়ায়।হাড়ের ভেতরে এক...

অলক্ষ্যের গান

অলক্ষ্যের গান

দিনগুলো চলে যাবে, থেকে যাবে নীরব অস্বস্তিপুরনো চিঠির মতো, ধূলো জমবে সবকিছুতেরবে অলক্ষ্যের গান- প্রণয় মেলার সদগতিআর সাক্ষ্যহীন স্মৃতি, ভিজবে অবিশ্রান্ত বৃষ্টিতেতখন ফিরতি পথে কখনো ডেকে বলবে আর?আমারও নাম ছিল, ছিল মুহুর্ত ছোঁয়ার সাধবিলীয়মান আলোতে যার...

হেই সামালো

হেই সামালো

ভাতের গন্ধ নয়, আমার শরীরে শুধু মাটির সুঘ্রাণহাল চষি, ফলাই এ শুকনো বৃন্তে সোনার ফুলতোমরা সেই ফুলে আলো করো, ক্ষুধা মিটাওকড়াপড়া আঙুলে এখনও সেই দাগ লেগে আছে। আমার শরীরে নেই শ্বেতসার, আমিষের বিপুল জমাটক্ষেতের আল ধরে শুধু হেঁটে যেতে জানি দীর্ঘ পথলাঙলে...

অনর্থের দিকে

অনর্থের দিকে

সেইসব কান্নারা অনর্থের দিকে হেঁটে চলে গ্যাছে-“চাতক বাঁচে কেমনে, মেঘের বরিষণ বিনে”এইসব শব্দের ভেতর আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষের ভিড়নিজেকে প্রায়শই অপাপবিদ্ধ শিশুদের সহগ মনে হয়যদিও “ওই নামের গৌরব রবে না” জেনে —বিভিন্ন প্রার্থণার সুর ঘড়ির অস্থিরতা প্রবন...

সৈয়দ সাখাওয়াৎ
সৈয়দ সাখাওয়াৎ

সৈয়দ সাখাওয়াৎ

জন্ম ৮ আগস্ট ১৯৭৮; চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৃবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর।