১. মগজের কোষে কোষে সেসব নিঃশব্দ শিকার খেলা করেযারা চলে গ্যাছে স্মৃতিময় ভোর হাতে নিয়ে দূর কোন পথেদীর্ঘবাহু ছড়িয়ে আছে–যে তুমি ধরতে পারো আঙুলবনবেদনার হাত থেকে বেঁচে যাবে, ছুঁয়ে পাখির ডানার রোদ ২.মৃত্যুর অন্ধকূপ থেকে বেরিয়ে এসে দাঁড়িয়েছো...
মনোসরোনীর বুকে বেজেছে ব্যাকুল কোন গানতোমারই স্মৃতিচিহ্ন আলুথালু জীবনের পাশে–পড়ে আছে–অগ্রহণে–লীন হয়ে যাওয়া বাতাসেচির কুয়াশায় বুঝি হারিয়েছে সহজের ঘ্রাণপাথরের বুকে যেন খোদাই করে রেখেছে স্মৃতি–যেখানে রাতের ছায়া নামে অন্ধকারে...
১.যদি না কাছে আসো, যদি না মাতাল হাত বাড়াওঅনুঢ়ার রাগ, না ভাঙে যদি আদরের সীমানাটাওতবে কেন এই বসন্ত ব্যকুল হয় দূরগামী মেঘেএই বিরহকাল কেন তবে পুষে রাখি মরাল চোখে? বুকে তবু ধাতব নিশ্বাস জমে জমে হয় গমের বীজউদগমের অপেক্ষায় আর কতকাল কেটে যাবেতুমি কি সকাল...
বড় অসময়ে এলে—দূর গ্রহাণুপুঞ্জের মতোদূরে দূরেই রইলে, দ্যাখি—বিহ্বল চোখের ভাষাযেন জড়িয়ে রেখেছো চিরকালের নিষেধ গানশুধু মনে পড়ে যায়, এখানে উষ্ণতা মিশে ছিলোসেইখানে আজো আছি, কতদূরে বয়ে গেলো নদী!তুমিও হেঁটেছো দূরে—স্মৃতিমগ্ন জোনাকের বনদিনগুলো মেতেছিলো, আজও...
বৃষ্টি হচ্ছে ভেবেছিলাম তুমি খবর নেবেখবর তো নয়, বেজে উঠলো বিরহ সঙ্গীতেঅথচ মেঘ নেমেছিলো আমার চোখেও কতদ্যাখেনি কেউ, না দেখাতে পুড়ছি সম্ভবতএমন কত মেঘ জমে যায়, ভোরের কাছে যেতেএই বরষায় না হয় দুঃখ নিয়েছি হাত পেতেহাতের কাছে অনঘ প্রেমের বাঁশি অনাবৃতবৃষ্টি...
যেভাবে আঙুল থাকে পরস্পর থেকে সমদূরেতারচেয়েও অধিক দূরে থাকে শরীরের ভারমানুষের চেয়ে বেশি দূরে আর কিছু নেই যেনকার্ণিশে ধুলোর মতো, জমে শুধু বিপুল আঁধার। ফিরছি, দু’কাঁধে ভর করে আছে জাগতিক মেহনিঃসঙ্গ শিষ যেন, বহুদূরে দেখা অবসাদে-নুয়ে পড়েছে ঘুমের মতো, রেখে...
সকল দৃশ্যের মাঝে, সে এক দৃশ্য খেলা করছে। পৃথিবীর কক্ষপথে চিরজাগরূক নক্ষত্রের-দীর্ঘ আলো এসে পড়ে, অন্ধকার দূর লোকালয়েসেসব আলোর স্বর, দূরাগত প্রতিধ্বনি তোলে । এই যে মেঘের ঘন কালো ছায়া, সমস্ত সকাল-ধাতব শব্দের মতো দিগ্বিদিক আলোক বিদীর্ণ করেছুটে আসে মওসুম...
জানো মেহেরুন, এরকম ক্ষয়ে যাওয়া সময়ে কীভাবে বেঁচে আছি তা বিস্ময়ের লাগে।যদিও সকল বৃষ্টিতে একইরকম সুগন্ধ থাকে, তবুও অনাদিকালের মতো এই বৃষ্টি-আমাদের ধুয়ে-মুছে করে দেয় না পরিষ্কার। আমরা দাঁড়িয়ে আছি একটা গভীর সময়ে। এই যে দ্যাখো, এরকম দুপুর বেলায়, হঠাৎ...