যেভাবে আঙুল থাকে পরস্পর থেকে সমদূরেতারচেয়েও অধিক দূরে থাকে শরীরের ভারমানুষের চেয়ে বেশি দূরে আর কিছু নেই যেনকার্ণিশে ধুলোর মতো, জমে শুধু বিপুল আঁধার। ফিরছি, দু’কাঁধে ভর করে আছে জাগতিক মেহনিঃসঙ্গ শিষ যেন, বহুদূরে দেখা অবসাদে-নুয়ে পড়েছে ঘুমের মতো, রেখে...
সকল দৃশ্যের মাঝে, সে এক দৃশ্য খেলা করছে। পৃথিবীর কক্ষপথে চিরজাগরূক নক্ষত্রের-দীর্ঘ আলো এসে পড়ে, অন্ধকার দূর লোকালয়েসেসব আলোর স্বর, দূরাগত প্রতিধ্বনি তোলে । এই যে মেঘের ঘন কালো ছায়া, সমস্ত সকাল-ধাতব শব্দের মতো দিগ্বিদিক আলোক বিদীর্ণ করেছুটে আসে মওসুম...
জানো মেহেরুন, এরকম ক্ষয়ে যাওয়া সময়ে কীভাবে বেঁচে আছি তা বিস্ময়ের লাগে।যদিও সকল বৃষ্টিতে একইরকম সুগন্ধ থাকে, তবুও অনাদিকালের মতো এই বৃষ্টি-আমাদের ধুয়ে-মুছে করে দেয় না পরিষ্কার। আমরা দাঁড়িয়ে আছি একটা গভীর সময়ে। এই যে দ্যাখো, এরকম দুপুর বেলায়, হঠাৎ...
কতদূরে যেতে হয়, কতটুকুই বা যেতে পারে—একফালি মেঘ তবু জল হয়ে ঝরবার আগেকতটুকু বরফের চাঁই হয় সাগরের জলপৃথিবীর পিঠে পিঠে মেরু থেকে মরুর ওপারে কা’র বুকে সুঁই ফোটে বেদনার মৃদু জ্বরে কাঁপেদেহের অস্থিরেখায় অগোছালো হাতে-সংরাগেকতটুকু ছায়া হয় ভালোবেসে মরে যেতে...
নিঃসঙ্গ পাথরের তবু থাকে সংঘর্ষ সঙ্গীযে নদী একাকী বয়, তারও থাকে জমজ বোনআর মানুষ—অস্ফুট শব্দের ভেতর মৃত যেনকোনদিন আসবে না জেনে নিয়ত যে পুড়ে ছাই আমি তার ভোরলগ্ন মৃত্যুর কথা বলছি, অথবাহারিয়ে যাবার ছলে সেইসব বীতভাব শ্লোক। হয়তো দেখার ছলে, অথবা যে দেখেনি...
আমার উঠোনজুড়ে পড়ে আছে সূর্যপোড়া ছাইবিছানা-বালিশে শুধু পুরনো শ্যাঁওলাপড়া গন্ধদ্যাখি, সিথানে-পিথানে শব; কিঙবা অচল রাষ্ট্রটাই—শুয়েছে কাফন গায়ে, শরীরে রাখা মিথ্যে প্রবন্ধ! অথচ তাদের মুখে, দ্যাখি — সর্বগ্রাসী ক্ষুধা একবিচিত্র পালাবদল অথবা পৃথুল...