বিপন্ন সকাল এসে দাঁড়িয়েছে হাতের মুদ্রায়সমস্ত প্রশ্নের পর, সারারাত শিস দিয়ে গেছেআরও গান আরও মুত্যুর ধাবমান রেখায় —নিস্তরঙ্গ ট্রেন এসে যেন সংঘর্ষ ছড়িয়েছে ওইযে পাথরসারি — ক্রমাগত বৃষ্টির আঘাতে —খয়ে গেছে, বিপরীত বিন্যাসে তবু কেউ দাঁড়ায়যতদূর দৃষ্টি যায়...
এইসব পাতাঝরা দিন এলে, আমার কেবল-তোমার বিকেল কথা মনে পড়ে, সূর্যদিন থেকেসেসব না বলা বাক্য- আসে নৈঃশব্দ্যের বাগানেযেকোনো মলিন জলে-ছায়াগুলো অমলিন থাকেনীরব গমের ক্ষেতে সেসব অতিলৌকিক শব্দেআমার বিকেলগুলো হাতছানি দিয়ে ডাকে-আয়ু;সন্ধিলগ্ন বিশ্বাসের নাম...
সেদিন সিক্ত সন্ধ্যায়, অস্ফুট কথাদের আড়ালেনক্ষত্র যেন ঘুমিয়ে পড়েছিলো। অথবা তুমিই–মনে হলো বহুযুগ ধরে তোমার চোখের ‘পরেতিরতির করে কেঁপে উঠেছিলে নিভৃত পালকে মর্মে যে সুর বেজেছে, বুঝিবা সেই সব ছায়ায়জড়িয়েছে এই শব্দ–শহরের সব কোলাহলনতুন...
কোথাও পাথর এক, বুকজুড়ে নিয়ত নিশ্বাসআরও গভীর হয়, আরও অর্থহীন গহ্বরে–ডুবে যায়, যেন এক অন্ধকার সকলের বুকেবারবার ফিরে আসে–দ্বিধা ও অস্বস্তি ভালোবেসেহাতের স্পর্শে যেনবা সেইসব ছায়া পড়ে থাকেশূন্যতার তীররেখা ধরে ফিরে আসে কেউ বুঝিবুঝি এমন...
কোন কোনদিন আসে, এই শহর হৃদয়হীন―হয়ে পড়ে। ধূলো ওড়া পথে আমাদের নামগুলোশীতের পাতার মতো ঝরতে থাকে। শরীরে স্বেদআর বিপুল অস্বস্তি নিয়ে হাঁটি শেষ দিনগুলো। নতুন বছর আসে― বুড়িগঙ্গা মরে যায় কেন?কে তাকে নাম দিয়েছে?শহরে বাড়ছে উদ্বাস্তুরাএই পাতাহীন গাছ কোন শর্তে...
করস্পর্শে তুলে নাও যেন তুমুল ছায়ার বন কখনোবা প্রিয় সুর আঙুলের স্পর্শে স্পর্শে নাচে সকল অনঘ রূপে হয়ে ওঠো অলীক প্রবণ ফিরে আসে তোমারই নামে—গভীর সমুদ্র সেঁচে কখনোবা ভালোবাসো—কখনোবা কান্না তুলে নাও নক্ষত্র উজানে নাচে সেইসব সহজের ভাষা নিজের জীবন থেকে...
যতটা সময় কাছে ধরে রাখো মেঘ আকাশে জমেনি কালপুরুষের ছায়া ক্ষয়াটে চাঁদে হাওয়ার থেমেছে বেগ বিন্দু বিন্দু তোমাকে খুঁজতে চাওয়া অথচ শহরে ধূলি ওড়ে সাদা সাদা শীত এসেছে নিশ্বাসে হিম ছোঁয়া প্রতি সকালে সূর্য ভাঙেনা পর্দা ঘুমচোখ জুড়ে ধরে রাখো কা’র মায়া...