বরং দূরে থাকা ভালো– নিজেকে গুটিয়ে রাখা সবকিছু থেকে চির বিলয়ের সন্ধ্যায় তবু আকাশ চমকালো উড়েছি ভিন্ন ভিন্ন আলোয় প্রত্যেকে। এভাবেই ভেঙে পড়ে রোদ মোহ ভাঙে দূরগামী মেঘে বৃষ্টিও চলে গ্যাছে, রেখে প্রবল বিরোধ হাওয়ার কষ্ট জমা জল মেখে… বরং...
সকাল ফুটেছে, আড়মোড়া ভাঙে পাতারা সময় কাটে না, হিমস্মৃতি; তোমাকে ছাড়া তোমার কাছেই নতজানু হই এখনো তুমি মানে প্রেমে, মোহগ্রস্ত হওয়া যেন। একজীবনে কত প্রেমে আসা- যাওয়া তুমি পালটাও–নিজেকেও বুঝি পালটে নেয়া বোকা সময়ে দুরুদুরু বুকে এখনো হৃদয়ে...
আমার অলক্ষ্য তুমি, প্রতিদিন করো নিদ্রাপাঠ যে জীবন ফড়িঙের তাতে চড়াও চিতার কাঠ জ্বলে ও জ্বালায় তারে, মৃতনদী-স্মৃতিদেহ যেন আগুনে ভীষণ পুড়ে সে নদী কাঁদে বুঝি এখনো ভীষণ ইচ্ছার লোভ, আরোকিছু শব্দের আবাদে তোমার ঠোঁটেতে চুমু–খুঁটে খায় ক্লিন্ন...
তোমাকে পরম জেনে সহসা ভুলেছি সবকিছু পথে পথে ঘুরি শুধু, যেনবা আদিম-মুসাফির আসমুদ্রহিমাচল, দূরগামী বাতাসের পিছু– ছুটছি সকল ভুলে–তুমি রও অবিচল, স্থির। আমি তো চিনি না পথ, কোন নদী চিরে গ্যাছে মরু তৃষ্ণায় কাতর তবু, হেঁটেছি যতদূর পাখিরা–...
আমার অলক্ষ্য তুমি, প্রতিদিন করো নিদ্রাপাঠ যে জীবন ফড়িঙের তাতে চড়াও চিতার কাঠ জ্বলে ও জ্বালায় তারে, মৃতনদী-স্মৃতিদেহ যেন আগুনে ভীষণ পুড়ে সে নদী কাঁদে বুঝি এখনো ভীষণ ইচ্ছার লোভ, আরোকিছু শব্দের আবাদে তোমার ঠোঁটেতে চুমু–খুঁটে খায় ক্লিন্ন...
সন্ধ্যে নামার সময়— দূরে কোন হাওয়ার পালে তোমার নামের চিঠি, প্রাপকের নাম মুছে দিলে— কী আর থাকে চিঠির শরীরে? হৃদয় ভাঙা ছাড়া মুছে যায় আকাশের আভা, ভিজে হৃদয় ভাষারা শেষ বিকেলের আলো, বলো; তুমি সত্য জেনে বলো ফুরালে কথারা ঠিক, থামে পরস্পরের আঙুলও যে...
ও যেন আসে প্রতিটি জাগরণে—ঘুমের গভীরে স্মৃতি সাক্ষ্য দেয় যদি কোনদিন ভ্রম ভেঙে যায় সে যেন পাতার গায়ে—পাপড়ি যেমন ঝুঁকে পড়ে— তেমনি দ্যাখছি তারে, মনোসুরে—গাঢ় স্বব্ধতায় সে কেন আসে এমন বৈরি দিনে? ছুঁতে যে পারি না! জানি, ছুঁয়ে দিলে হায় ভেঙে যাবে...