সর্বশেষ প্রকাশিত

বরং দূরে থাকা ভালো

বরং দূরে থাকা ভালো

বরং দূরে থাকা ভালো– নিজেকে গুটিয়ে রাখা সবকিছু থেকে চির বিলয়ের সন্ধ্যায় তবু আকাশ চমকালো উড়েছি ভিন্ন ভিন্ন আলোয় প্রত্যেকে। এভাবেই ভেঙে পড়ে রোদ মোহ ভাঙে দূরগামী মেঘে বৃষ্টিও চলে গ্যাছে, রেখে প্রবল বিরোধ হাওয়ার কষ্ট জমা জল মেখে… বরং...

বৃষ্টি ঝরুক

বৃষ্টি ঝরুক

সকাল ফুটেছে, আড়মোড়া ভাঙে পাতারা সময় কাটে না, হিমস্মৃতি; তোমাকে ছাড়া তোমার কাছেই নতজানু হই এখনো তুমি মানে প্রেমে, মোহগ্রস্ত হওয়া যেন। একজীবনে কত প্রেমে আসা- যাওয়া তুমি পালটাও–নিজেকেও বুঝি পালটে নেয়া বোকা সময়ে দুরুদুরু বুকে এখনো হৃদয়ে...

অলক্ষ্যের পাঠ

অলক্ষ্যের পাঠ

আমার অলক্ষ্য তুমি, প্রতিদিন করো নিদ্রাপাঠ যে জীবন ফড়িঙের তাতে চড়াও চিতার কাঠ জ্বলে ও জ্বালায় তারে, মৃতনদী-স্মৃতিদেহ যেন আগুনে ভীষণ পুড়ে সে নদী কাঁদে বুঝি এখনো ভীষণ ইচ্ছার লোভ, আরোকিছু শব্দের আবাদে তোমার ঠোঁটেতে চুমু–খুঁটে খায় ক্লিন্ন...

কোন একদিন

কোন একদিন

অভিন্ন শব্দের পরে আমরা সকলেই চলে যাই অভিন্ন দুয়ারে দরোজায় কড়া নাড়ে সেইসব দুপুর ও অমীমাংসিত কথারা সমস্ত পার্থিব গান—অদেখা সমুদ্রসুর—থাকে অন্ধকারে,দূরলোকে এপিটাফে লেখা থাকে, একদিন সমস্ত গান এখানে পার্থিব ছিল। —সহসা স্বপ্নের মতো সকলেই হয় নদীর...

পরম

পরম

তোমাকে পরম জেনে সহসা ভুলেছি সবকিছু পথে পথে ঘুরি শুধু, যেনবা আদিম-মুসাফির আসমুদ্রহিমাচল, দূরগামী বাতাসের পিছু– ছুটছি সকল ভুলে–তুমি রও অবিচল, স্থির। আমি তো চিনি না পথ, কোন নদী চিরে গ্যাছে মরু তৃষ্ণায় কাতর তবু, হেঁটেছি যতদূর পাখিরা–...

অসময়

অসময়

তোমার সাথে আমি নিয়ত আলাদা হই। আমি ফিরে যেতে পারিনি ছেড়ে নির্বাক তরী অথচ রাত্রির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছে সময় যেন ঘড়ির কাঁটার মতো পুরো ব্যাসার্ধ ঘুরে এসে বলবে― সময় শেষ― প্রহরীর মতন। আদি-অন্ত মাঠের মতো অবনত হও, দ্যাখো― সকালের পূর্বাভাস― সমস্ত...

অলক্ষ্যের পাঠ

অলক্ষ্যের পাঠ

আমার অলক্ষ্য তুমি, প্রতিদিন করো নিদ্রাপাঠ যে জীবন ফড়িঙের তাতে চড়াও চিতার কাঠ জ্বলে ও জ্বালায় তারে, মৃতনদী-স্মৃতিদেহ যেন আগুনে ভীষণ পুড়ে সে নদী কাঁদে বুঝি এখনো ভীষণ ইচ্ছার লোভ, আরোকিছু শব্দের আবাদে তোমার ঠোঁটেতে চুমু–খুঁটে খায় ক্লিন্ন...

সময়

সময়

এরকম ভীষণ একা মুহুর্তগুলো মনে হয় মাটির গভীর থেকে নিয়ে আসে শীতল অনুভূতি। যেন শুষে নিয়ে যায় সকল নিশ্বাস। এই অন্ধকার ভূমণ্ডলে যেন শব্দহীন-স্বপ্নহীন নিভৃত অনঙ্গ এক আঁধার―এই চরাচর ভেঙে ছুটে আসে বিস্মৃতির হাত ধরে। নিয়ত একাকী করে। আসে শীতল...

সন্ধ্যে নামার সময়

সন্ধ্যে নামার সময়

সন্ধ্যে নামার সময়— দূরে কোন হাওয়ার পালে তোমার নামের চিঠি, প্রাপকের নাম মুছে দিলে— কী আর থাকে চিঠির শরীরে? হৃদয় ভাঙা ছাড়া মুছে যায় আকাশের আভা, ভিজে হৃদয় ভাষারা শেষ বিকেলের আলো, বলো; তুমি সত্য জেনে বলো ফুরালে কথারা ঠিক, থামে পরস্পরের আঙুলও যে...

পূজারী

পূজারী

ও যেন আসে প্রতিটি জাগরণে—ঘুমের গভীরে স্মৃতি সাক্ষ্য দেয় যদি কোনদিন ভ্রম ভেঙে যায় সে যেন পাতার গায়ে—পাপড়ি যেমন ঝুঁকে পড়ে— তেমনি দ্যাখছি তারে, মনোসুরে—গাঢ় স্বব্ধতায় সে কেন আসে এমন বৈরি দিনে? ছুঁতে যে পারি না! জানি, ছুঁয়ে দিলে হায় ভেঙে যাবে...

সৈয়দ সাখাওয়াৎ
সৈয়দ সাখাওয়াৎ

সৈয়দ সাখাওয়াৎ

জন্ম ৮ আগস্ট ১৯৭৮; চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৃবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর।