তুমি তো আনন্দ, তুমি তো দুঃখের সহোদরা তবু সঘন প্রেম, প্রতিজীবন ভেবেছি তোমাকে ছাড়া তুমি তো মন্দির, তুমি যেন পূজার অর্ঘ্যের ফুল শীতের প্রবন্ধে জমা— কলি থেকে ফুটতে ব্যাকুল তুমি তো দূর, যেন বিউগল বেজে ওঠো যুদ্ধদিনে জেনেছি রাধিকা, যেমন পাপড়ি গুনেছে...
সকাল এসেছে একফালি রোদ হাতে তোমার গানেতে ঐশ্বর্য্যের গাঢ় সুর আরও মগ্নতা চির পোষাকের সাথে তুমি তো স্নিগ্ধ, হৃদয়ের অন্তঃপুর। তুমি বেজে ওঠো বাতাসে ব্যকুল স্বর লিখে যাই কথা কবিতার দেহজুড়ে আমি তো জেনেছি সৌভাগ্যের পূর্বাপর খুঁজে খুঁজে মরি যতবার যাই...
এক সন্ধ্যায় তোমার সাথে হঠাৎ দেখা আকাশ তখন মেঘ জুড়েছে ঘন কালো গল্পগুলো নিয়ন আলোয় হয়না লেখা শহরফেরির রাস্তা কোথায় আছে বলো ? রাস্তাজুড়ে ট্রাফিক বড়ো―ধূলোর জ্যাম আকাশে মেঘ মৃদু আলোর মরাল রঙ তুমি তো আমায় ডেকে বলোনি―তুহুঁ শ্যাম কান্ড দ্যাখেই হাসবে...
আমার সবে আঠারো রাগ ছুঁয়েবুকে তখন আগুনরঙা গানকে দিয়েছে কবিতার বীজ রুয়েসস্তা জীবনে বিদ্রোহে টান টানভেঙে দেওয়ার স্বপ্ন চোখে-মুখেবাড়ির পাশে সমুদ্র উচাটনলাল বই আর ম্যনিফেস্টো থেকেকোট করছি প্রেমের বিজ্ঞাপন মাধ্যমিকে পড়া কমার্স কলেজ―পরের বছর...
তোমায় আমি হাওয়ার মতো দাবি করতে পারি যেভাবে ঈশ্বর দাবি করে সমস্ত সৃষ্টিই তার যেভাবে আকাশে নেমে আসে বর্ষা: অবিশ্রান্ত বারি আলোকের উৎসবে তোমাকে চাইছি পূনর্বার। দিনে দিনে কেন তুমি হয়ে উঠছো এমন দামি? বিরল ঘ্রাণের মতো ছুটে আসো যখন-তখন ক্রমশ উন্মাদ করে...
সেই পথে আর কেউই ফিরে যাবে না। দীর্ঘ রাত্রির খোলসে– ডুবে যাচ্ছে রোদ, আমি সেসব ছলাকলা দেখছি ইচ্ছের পালক থেকে খসে পড়া তারাদের যেন যারা কাছে এসে, দূরে চলে গিয়েছিল পুনরায়। ঈশ্বরের মতো– মাঝে মাঝে তাই দূর থেকে দেখা ভালো নক্ষত্রপুরাণে যদি...
কোন কোনদিন আসে, এই শহর হৃদয়হীন― হয়ে পড়ে। ধূলো ওড়া পথে আমাদের নামগুলো শীতের পাতার মতো ঝরতে থাকে। শরীরে স্বেদ আর বিপুল অস্বস্তি নিয়ে হাঁটি শেষ দিনগুলো। নতুন বছর আসে― বুড়িগঙ্গা মরে যায় কেন? কে তাকে নাম দিয়েছে? শহরে বাড়ছে উদ্বাস্তুরা এই পাতাহীন...
নিজেকে দু’ভাগ করি, অসহ্য প্রলাপ চারিদিকেএক ভাগ বাড়ি ফেরে, এক ভাগ তোমার দিকেঅথচ এ’গান তবু, কোনদিন ছোঁবে না তোমায়পাঁজরে দ্বিধার টান—আঁধারে ঢাকছে কেন হায়!যেন সর্বনাশ আমি নিজ হাতে সাজিয়ে নিয়েছিগভীর জলের স্রোতে হাজারো পাথর কুড়িয়েছিযে স্রোতে শুধু...